Tafsirul Quran তাফসীরুল কুরআন (৩০তম পারা) – TAF006

SKU: TAF006 Categories: ,

Description

্রকাশকের নিবেদন

মানবেতিহাসের সর্বাধিক পঠিত ধর্মগ্রন্থ হ’ল ‘কুরআন’। প্রায় দেড় হাযার বছর পূর্বে শেষনবী
হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর নবুঅতী জীবনের দীর্ঘ ২৩টি বছরে থেমে থেমে নাযিল হওয়া এই
মহাগ্রন্থই মানবজাতির জন্য আল−াহ প্রেরিত সর্বশেষ হেদায়াতবাণী। মানবজাতির ইহকালীন
সফলতা এবং পরকালীন মুক্তি এই গ্রন্থের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণের উপর নির্ভরশীল। সৃষ্টিকর্তা আল−াহ ও
সৃষ্টিজগতের মধ্যে সেতুবন্ধনের জীবন্ত স্মারক এই মহাগ্রন্থের মাধ্যমে আল−াহ রাব্বুল আলামীন
মানবজাতিকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
বিশ্বজনীন ধর্মগ্রন্থ হিসাবে পবিত্র কুরআনের বিষয়বস্তু স্বাভাবিকভাবেই অতি বি¯তৃত ও বহুমুখী।
মানবজাতির জন্য প্রয়োজনীয় এমন কিছুই নেই, যা এই মহাগ্রন্থে বিবৃত হয়নি। জ্ঞানের সমস্ত দিক
ও বিভাগের দুয়ার খুলে দিয়েছে এই গ্রন্থের প্রতিটি আয়াত ও শব্দ।
পবিত্র কুরআনের মর্মার্থ সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে
এযাম ও পরবর্তী ওলামায়ে কেরাম সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন তাঁদের তাফসীর ও ব্যাখ্যা-বিশে−ষণের
মাধ্যমে। যার ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ থেকেছে পরবর্তী সকল যুগে ও সমাজে। তবে বাংলাভাষায়
তাফসীর চর্চার ইতিহাস খুব বেশী দিনের নয়। তদুপরি যতটুকু হয়েছে, তার অধিকাংশই বিভিন্ন
মাযহাব ও মতাদর্শগত ব্যাখ্যার সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নি। সেকারণ
বাংলাভাষায় পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক একটি বিশুদ্ধ তাফসীরের চাহিদা ছিল
বহুদিনের। বিশেষতঃ বর্তমান সময়ে এই প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে আরো তীব্রভাবে। যখন
আল−াহ্র অশেষ মেহেরবাণীতে এদেশের মুসলিম সমাজে প্রচলিত মাযহাব ও মতাদর্শগত বিভক্তি
থেকে মুক্ত হয়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সহজ-সরল ও স্বচ্ছ বিধানের প্রতি
আত্মসমর্পণের চেতনা দিন দিন প্রসার লাভ করছে।
এমনি মুহূর্তে অনেক দেরীতে হলেও বহু প্রতীক্ষিত ‘তাফসীরুল কুরআন’ (৩০তম পারা) জাতির
সামনে পেশ করতে পেরে আমরা আল−াহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি।
সম্মানিত লেখক বগুড়া যেলা কারাগারে অবস্থানকালে অন্যান্য লেখনীর সাথে সূরা বাক্বারাহ্র
অধিকাংশ এবং আম্মাপারার তাফসীর সম্পন্ন করেন। জেল থেকে বেরিয়ে এসে কঠিন সাংগঠনিক
ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে মুহতারাম লেখকের হাতে যাচাই-বাছাই হওয়ার পর তাফসীরটি গ্রন্থাকারে
প্রকাশিত হ’ল। ফালিল−াহিল হাম্দ। গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে প্রকাশনার ক্ষেত্রে
৩০তম পারাটি অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। বাকি পারাগুলি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হবে ইনশাআল−াহ।
আমরা মাননীয় লেখকের জন্য আল−াহ্র নিকট হায়াতে ত্বাইয়েবা প্রার্থনা করছি এবং আন্তরিকভাবে
দো‘আ করছি যেন তিনি এই মহান খেদমতটি সফলভাবে সমাপ্ত করতে পারেন- আমীন!
বাংলাভাষায় কুরআনের অনুবাদ ও তাফসীর মূলতঃ একটি কঠিন ও জটিল কাজ। সেই আয়াসসাধ্য
ও ব্যাপক কাজটি সংক্ষেপে ও সহজ-সরল উপস্থাপনার মাধ্যমে মাননীয় লেখক পাঠকের হৃদয়ে
পৌঁছে দেয়ার যে কঠিন ব্রত গ্রহণ করেছিলেন, তা সফল হয়েছে বলেই আমাদের বিশ্বাস। পবিত্র
কুরআনকে সমকালীন সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশে−ষণের মাধ্যমে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিত্য-
নতুন তথ্যের সমাবেশ ঘটিয়ে লেখক মুসলিম সমাজের সামনে জ্ঞানের যে নব দিগন্ত উন্মোচন
করতে চেয়েছেন, তা ফলপ্রসূ হবে বলে আমরা আশাবাদী। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের
প্রায় ৩০ কোটি বাংলাভাষী মুসলমান এ থেকে প্রভূত কল্যাণ লাভে সমর্থ হবেন ইনশাআল−াহ।
যারা এই প্রকাশনার কাজে আমাদেরকে উৎসাহিত করেছেন, সহযোগিতা করেছেন, তাদের সকলকে
আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আল−াহ আমাদের সকলের প্রচেষ্টাকে কবুল করে নিন- আমীন!
বর্তমান ২য় সংস্করণে মাননীয় লেখক সূরা ফাতিহার তাফসীরে সামান্য সংযোজন করেছেন এবং
বাকীগুলিতে ছোট-খাট ত্র“টি সংশোধিত হয়েছে। যথাসত্বর অত্র সংস্করণটি পাঠকদের হাতে তুলে
দিতে পারায় আমরা আল−াহ্র শুকরিয়া আদায় করছি।
অধ্যাপক আব্দুল লতীফ
সচিব
হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ

ভূমিকা


পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ার আহŸান জানিয়ে ছাত্রজীবন থেকে
আমরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলাম, জীবনের পড়ন্ত বেলায় সরকারের যিন্দানখানায়
এসে সেই দুই আলোক¯—ে ম্ভর গভীরে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে আল−াহপাকের শুকরিয়া আদায়
করছি। ফাঁসির সেলের সংকীর্ণ নির্জন কক্ষে বসে সাক্ষাৎ মৃত্যুকে সামনে রেখে কুরআনে ডুবে
যাওয়ার যে আলাদা তৃপ্তি রয়েছে, বাইরের জীবনে তা সহজে অনুভব করা যায় না। সে দিনের
সেই লেখাগুলির একাংশ ‘আম্মা পারা’র তাফসীর পরিমার্জিত হয়ে প্রেসে যাওয়ার এ মুহূর্তটি
দীন লেখকের জন্য তাই সত্যিই স্মরণীয়। আমরা সর্বান্তঃকরণে আল−াহ্র প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করছি, যিনি এই মহতী খেদমতটি আমাদের মাধ্যমে করিয়ে নিলেন। ফালিল−াহিল
হাম্দ। বাকী অংশগুলি ধীরে ধীরে প্রকাশিত হবে ইনশাআল−াহ।
তাফসীরে গৃহীত নীতিমালা : (১) প্রমে সমার্থবোধক কুরআনের অন্যান্য আয়াতসমূহ দ্বারা
ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অতঃপর (২) ছহীহ হাদীছ দ্বারা। অতঃপর প্রয়োজনে (৩) আছারে ছাহাবা
ও তাবেঈনের ব্যাখ্যা দ্বারা, যা বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত। (৪) তাওহীদে আসমা ওয়া ছিফাত অর্থাৎ
আল−াহ্র নাম ও গুণাবলী বিষয়ে ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের বুঝ ও তাঁদের গৃহীত
নীতিমালার অনুপুঙ্খ অনুসরণের সাধ্যমত চেষ্টা করা হয়েছে। যে বিষয়ে প্রাচীন ও আধুনিক বহু
মুফাসসিরের পদস্খলন ঘটেছে। (৫) মর্মগত ইখতেলাফের ক্ষেত্রে তাফসীরের সর্বস্বীকৃত
মূলনীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং সর্বাগ্রগণ্য বিষয়টি গ্রহণ করা হয়েছে। (৬) তরজমার
ক্ষেত্রে কুরআনের উদ্দিষ্ট মর্ম অক্ষুণড়ব রেখে তা সাধ্যমত স্পষ্ট করা হয়েছে। (৭) ক্ষেত্র বিশেষে
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ তুলে ধরা হয়েছে। (৮) আয়াতের সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক
দিকগুলি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। (৯) তাফসীরের সর্বত্র চরমপন্থী ও শৈথিল্যবাদী আক্বীদা সমূহের
বিপরীতে আহলে সুনড়বাত ওয়াল জামা‘আত আহলেহাদীছের মধ্যপন্থী আক্বীদা অক্ষুণড়ব রাখা
হয়েছে। (১০) বিদ্বানগণের অনিচ্ছাকৃত ভুল এবং প্রবৃত্তিপরায়ণদের স্বেচ্ছাকৃত ব্যাখ্যাসমূহ
থেকে প্রয়োজনীয় স্থানসমূহে পাঠককে সতর্ক করা হয়েছে। (১১) আম্মাপারার সূরাসমূহের
বিষয়বস্তু, গুরুত্ব, শানে নুযূল, ফযীলত ও সারকথা বর্ণিত হয়েছে।
‘আম্মাপারা’ কুরআনের সবচেয়ে কঠিন ও সারগর্ভ সূরা ও আয়াতসমূহের সমষ্টি। যেগুলির
কলেবর অতীব সংক্ষিপ্ত, অথচ গভীর ভাব ও সূ² তত্ত¡ সমৃদ্ধ এবং আখেরাতের দ্যোতনায়
উদ্দীপ্ত। আম্মাপারার গভীরে যে ডুব দিবে, দুনিয়ার এই ক্ষুদ্র পরিসর ছেড়ে জানড়বাতের
গুলবাগিচায় পাড়ি দেওয়ার জন্য সে পাগলপারা হবে। হিংসা-হানাহানির এই কয়েদখানা ছেড়ে
সে তার সৃষ্টিকর্তা আল−াহ্র সানিড়বধ্যে পৌঁছে যাওয়ার জন্য উতলা হয়ে উঠবে। তাই কুরআনের
প্রতিটি শব্দ ও বর্ণকে আল−াহ্র কালাম হিসাবে দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে পাঠ করা ও তার প্রতি সশ্রদ্ধ
আমল করার আবেদন জানিয়ে ‘তাফসীরুল কুরআন’ পাঠের প্রতি আল−াহভীরু পাঠকদের
আহŸান জানাচ্ছি।
নিঃস্বার্থ এ লেখনীকে আল−াহ নাচীয লেখকের ও তার পরিবারের এবং তার মরহূম পিতা-মাতার
জানড়বাতের অসীলা হিসাবে কবুল করুন! অনিচ্ছাকৃত ভুল সমূহের জন্য সর্বদা আল−াহ্র নিকট
ক্ষমা প্রার্থী। পরিশেষে এ তাফসীরগ্রন্থ প্রকাশে সংশি−ষ্ট ও সহযোগী সকলকে আš—ি রক মুবারকবাদ
জানাচ্ছি। আল−াহ তাদেরকে ইহকালে ও পরকালে উত্তম জাযা দান করুন- আমীন! বিনীত
-লেখক

সূচীপত্র

(ঋ!৮)৫এ)
:মিক নং বিষয় পৃষ্ঠা নং
ভূমিকা ৪
১ (০১) সূরা ফাতিহা (মাক্কী) ৭
২ (৭৮) সূরা নাবা (মাক্কী) ৩৬
৩ (৭৯) সূরা নাযে‘আত (মাক্কী) ৬৮
৪ (৮০) সূরা ‘আবাসা (মাক্কী) ৯৪
৫ (৮১) সূরা তাকভীর (মাক্কী) ১১৬
৬ (৮২) সূরা ইনফিত্বার (মাক্কী) ১৪৫
৭ (৮৩) সূরা মুত্বাফফেফীন (মাক্কী) ১৫৭
৮ (৮৪) সূরা ইনশিক্বাক্ব (মাক্কী) ১৮৩
৯ (৮৫) সূরা বুরূজ (মাক্কী) ১৯৮
১০ (৮৬) সূরা তারেক (মাক্কী) ২১৭
১১ (৮৭) সূরা আ‘লা (মাক্কী) ২২৯
১২ (৮৮) সূরা গাশিয়াহ (মাক্কী) ২৫১
১৩ (৮৯) সূরা ফজর (মাক্কী) ২৬৭
১৪ (৯০) সূরা বালাদ (মাক্কী) ২৯৭
১৫ (৯১) সূরা শাম্স (মাক্কী) ৩১৩
১৬ (৯২) সূরা লায়েল (মাক্কী) ৩২৫
১৭ (৯৩) সূরা যোহা (মাক্কী) ৩৪৫
১৮ (৯৪) সূরা শরহ (মাক্কী) ৩৫৫
১৯ (৯৫) সূরা তীন (মাক্কী) ৩৬৪
২০ (৯৬) সূরা ‘আলাক্ব (মাক্কী) ৩৭২
২১ (৯৭) সূরা ক্বদর (মাক্কী) ৩৮৯
২২ (৯৮) সূরা বাইয়েনাহ (মাদানী) ৩৯৯
২৩ (৯৯) সূরা যিলযাল (মাদানী) ৪১১

২৪ (১০০) সূরা ‘আদিয়াত (মাক্কী) ৪২১
২৫ (১০১) সূরা ক্বারে‘আহ (মাক্কী) ৪৩১
২৬ (১০২) সূরা তাকাছুর (মাক্কী) ৪৩৭
২৭ (১০৩) সূরা আছর (মাক্কী) ৪৫৬
২৮ (১০৪) সূরা হুমাযাহ (মাক্কী) ৪৭৩
২৯ (১০৫) সূরা ফীল (মাক্কী) ৪৮০
৩০ (১০৬) সূরা কুরায়েশ (মাক্কী) ৪৯১
৩১ (১০৭) সূরা মা‘ঊন (মাক্কী) ৪৯৮
৩২ (১০৮) সূরা কাওছার (মাক্কী) ৫০৮
৩৩ (১০৯) সূরা কাফেরূন (মাক্কী) ৫১৪
৩৪ (১১০) সূরা নছর (মাদানী) ৫২৫
৩৫ (১১১) সূরা লাহাব (মাক্কী) ৫৩২
৩৬ (১১২) সূরা ইখলাছ (মাক্কী) ৫৪১
৩৭ (১১৩) সূরা ফালাক্ব (মাদানী) ৫৫০
৩৮ (১১৪) সূরা নাস (মাদানী) ৫৬২

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “Tafsirul Quran তাফসীরুল কুরআন (৩০তম পারা) – TAF006”

Your email address will not be published. Required fields are marked *